দুর্নীতি একটা পুরুষ
বুকের হালচাল পরীক্ষায় ব্যস্ত তার হাতের গ্লোভস,
কপালের শহরে লেগেছে ঠোঁটের মুখ; বিভৎস সময়ের আকাশে
দৃষ্টি ফেলছে স্মৃতির টেলিস্কোপ—অদূরেই যেন
চেয়ে আছে টাকার অভাবে আটকে থাকা
অজস্র ফাইলের মুখ! ইচ্ছে করছে—
শালার শিশ্নের গোড়ায় দেই
একটা রামকোপ!
শ্রান্ত বয়সদূত
শিরিষবৃক্ষের পাতাভেদ করে উপস্থিত মায়াঘন চন্দ্রকিরণ, সায়ান আকাশের
বুকে অজস্র কামরাঙামত তারারফুল ফুটে আছে; জীবন সায়াহ্নবেলাতেও
যৌবনফুল যেন শরীরময় আজ বড় বেশি সুবাস ছড়াচ্ছে; বয়সপিরামিডের
নিঃসঙ্গতায় কাটিয়ে দেয়া বায়ান্ন বছরকে আজ বুঝি-বা সতের
অথবা সাতাশ বছরে নামিয়ে এনেছে, মহামান্য বয়সদূত।
স্মৃতিঘরের দরজায় অপেক্ষারত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত অভাব’
আর জানালায় পলায়নরত কষ্টে পাওয়া ভালোবাসা।
না, না, না, এ ভালোবাসা নয় মোটেও..! অভাব এলে ভালোবাসা
কি সত্যি পালিয়ে যেতে পারি? উচিৎ কি পালিয়ে বাঁচা?
একে ভালোবাসা বলাও তো পাপ; এ যে ‘ভালোবাসা’ শব্দের অপমান!
জবুথবু সময়ের প্রবহমানতায় জীবন তো চলেছে বেশ,
তবে কেন আজ এ কষ্টস্মৃতির রোমন্থন বয়সদূতের?
বয়সদূতও কি এতদিন বাদে আজ বড় শ্রান্ত? বড় একা?
বুঝেছি প্রিয়, বুঝেছি..! হায়াতবৃক্ষের সব ক’টি পাতা
আজ নিশ্চয়ই ঝরে যেতে মশগুল!
Facebook Comments